জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার কাগমারীপাড়া গ্রামের আবুল হাসেমের পরিবার দীর্ঘ ১৫ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া কন্যা টুক্কুনির সন্ধ্যান পেয়েছে। বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, ১৫ বছর আগে বকশীগঞ্জ উপজেলার কাগমারিপাড়া গ্রামের আবুল হাসেম ও সইরে
ফুলি বেগমের কন্যা টুক্কুনি ওরুফে মমতাজকে কাজের কাজের মেয়ে হিসেবে ঢাকায় পাঠানোর জন্য একই গ্রামের শাবুল মিয়া পাশ্ববর্তী পাখিমারা গ্রামের নেহার বেগমের কাছে দেয়।নেহার বেগমের মেয়ে ঢাকায় অবস্থান করে।
পরে নেহার বেগম তার মেয়ের বাসার কাজের মেয়ে হিসেবে টুক্কুনিকে ঢাকায় পাঠায়। ঢাকায় নেহার বেগমের মেয়ের বাসায় কাজ করা কালিন ১৫ বছর আগে হারিয়ে যায় টুক্কুনি। এর পর অনেক খোজাঁ খুজিঁ করেও টুক্কুনিকে খোজেঁ পায়নি তার বাবা আবুল হাসেম ও মা সইরেফুলি। ১৫ বছর পর তার সন্ধ্যান পাওয়ার পর বিষয়টি ১২ সেপ্টেম্বর রাতে জামালপুর সদর উপজেলার বাইটকেমারী গ্রামের আবু তালেবের বিশ^বিদ্যালয় পড়–য়া ছেলে শাকিল আহমেদ বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানাকে অবহিত করেন। অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানাস্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি অবগত করেন।
বেশ কয়েকজন সাংবাদিক সোসাল মিডিয়ায় প্রকাশ করলে টুক্কুনির পরিচয় পাওয়া যায়। টুক্কুনির বিষয়ে সোসাল মিডিয়ায় প্রচারিত বর্ণনানুযায়ি টুক্কুনর বাবার নাম আবুল হাসেম(০১৯৭২৮৮১০৩১) ও মায়ের নাম সইরেফুলিসহ সবকিছু হুবহুব মিলে যায়। টুক্কুনি ওরুফে মমতাজ বর্তমানে লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার পশ্চিম চৌপল্লী গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের বাড়ীতে আছে। টুক্কুনির বিয়ে হয়েছে মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়ার সাথে। টুক্কুনির জা সুমি আক্তার জানান, টুক্কুনি বর্তমানে ৩ সন্তানের জননী। সে বিবাহিত জীবনে ২ ছেলে ও ১ কন্যার মা। অপর দিকে টুক্কুনির সন্ধ্যান পাওয়ার পর টুক্কুনির বকশীগঞ্জ উপজেলার কাগমারিপাড়া গ্রামে
আনন্দের বন্যা বইছে। কিন্তু টুক্কুনির পিতৃ পরিবার এখনও টুক্কুনিকে কাছে পাননি। টুক্কুনির বাবা আবুল হাসেম ও মা সইরেফুলি লক্ষীপুরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বাবা মা যাওয়ার পরেই ১৫ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া কন্যা টুক্কুনির সাথে দেখা হবে। ঠিকানা বিহীন টুক্কুনি ফিরে পাবে তার মা বাবাকে।
এব্যাপারে টুক্কনির স্বামী পরিবারের দায়িত্বশীল সদস্য সুমি আক্তার জানান, টুক্কুনির পিতৃ পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করলে এবং তথ্য সঠিক হলে অবশ্যই দুই পরিবারের মধ্যে সর্ম্পক গভীর হবে। ঠিকানা বিহীন টুক্কুনি তার ঠিকানা খোজেঁ পাক তা আমরা অবশ্যই চাই। এব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা জানান, টুক্কুনির ঠিকানা খোজেঁ পাওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকরা আমাকে যথেষ্ট সহায়তা করেছে। টুক্কনির স্বামীর পরিবার ও পিতৃপরিবারের মিলন মেলায় কোন সমস্যা হলে পুলিশ অবশ্যই দুই পরিবারকে সহায়তা করবে। দুইপরিবারের পাশে থাকবে।