রমজানে সারাদিনের খাবার ও পানি বিরতির পর ইফতারে হাইরিচ খাবার অভ্যাস অনেকেরই রক্তে কোলেস্টরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। আর এ সমস্যার সমাধান পেতে ইফতারে রাখতে পারেন লাল রক্ত রঙের বেদানাকে।
খাদ্যগুণ, পুষ্টিগুণে ভরপুর সুস্বাদু ফল বেদানা খেতে কার না ভালো লাগে। কিন্তু জানেন কি, এই ফল কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকর? পুষ্টিবিদরা বলছেন, শরীরে শক্তির চাহিদাও পূরণ করতে পারে বেদানা।
ফল সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ভিটামিনস, মিনারেল, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ তালিকায় বেদানা ওপরের দিকেই রয়েছে। এ ফলটির পুষ্টিগুণ জানলে চমকে যাবেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এ সময়ের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত।
কর্মব্যস্ত জীবনে সময় নেই শরীর চর্চার! সঙ্গে রয়েছে খাবার- দাবারের অনিয়ম। এর ফলে দেখা দিচ্ছে নানান রোগ। ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, ফ্যাটি লিভারের মতো নানা রকম রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। এসবের সঙ্গে দেখা দিচ্ছে কোলেস্টেরলের সমস্যা। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, খারাপ খাদ্যাভ্যাসের কারণে শরীরে বাসা বাঁধছে এই রোগ। সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই প্রয়োজন ডাক্তারি পরামর্শের। সঙ্গে মেনে চলতে পারেন ঘরোয়া টোটকা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোলেস্টেরল বাড়ার কারণে রক্তনালীতে জমতে পারে প্লাক। প্লাক হলো ময়লা। এই ময়লা রক্তনালীর ভেতর জমা হলে রক্ত ঠিকমতো প্রবাহিত হতে পারে না। এই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয় উচ্চ রক্তচাপ। আর রক্তচাপ বাড়লে হার্টকে বেশি খাটতে হয়। এমনকী রক্তনালীর ক্ষতি হয়। মস্তিষ্কে স্ট্রোকের আশঙ্কা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
এ বিষয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের বিরুদ্ধে দারুণ কাজ করে বেদানা। এই ফলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার রয়েছে। আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিভিন্ন ক্রনিক রোগের বিরুদ্ধে দারুণ কাজ করে। বহু রোগ প্রতিরোধ করতেও সক্ষম। এমনকী উচ্চ রক্তচাপ ও উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যাকে দূর করে দেয় এই ফল। তাই হার্ট থাকে সুস্থ। আর হার্ট সুস্থ থাকলে মোটের ওপর গোটা শরীরেই পৌঁছে যেতে থাকে পুষ্টি ও অক্সিজেন। এমনকী হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেলিওর দূরে থাকে।
তবে শুধু বেদানা খেলে হবে না, বরং ডায়েট হতে হবে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য সহায়ক। অর্থাৎ এমন খাবার ডায়েটে রাখতে হবে, যা হার্ট ভালো রাখে। আর দেখা গেছে, খাদ্যাভ্যাসে নজর দিতে পারলেই ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপকে একসঙ্গে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে ডায়েট। এমনকি সার্বিক সুস্থতা বজায় থাকে।
হার্টকে সুস্থ রাখতে চাইলে খেতে হবে গ্রিন টি, ব্লু বেরি, ব্ল্যাক বেরি, রসবেরি ইত্যাদি। তবেই হৃৎপিণ্ড নিজের কাজ সুষ্ঠভাবে করতে পারবে। এছাড়া জীবনযাত্রায় বদল আনার কথাটা ভুললেও চলবে না। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করার চেষ্টা করতে হবে। এইসব নিয়মের পাশাপাশি টানা ৩ মাস ধরে প্রতিদিন খেতে হবে বেদানা। তবেই পাওয়া যাবে উপকার।