মতিন রহমান:-জামালপুরের বকশীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে এক ব্যক্তির বসতভিটার প্রাচীর ও বেড়া ভেঙে দিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলার সময় বাধা দিতে গেলে ভুক্তভোগী পরিবারটিকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্কে ভুগছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক মো. সামিউল হক গতকাল (২৪ অক্টোবর) বকশীগঞ্জ থানায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বকশীগঞ্জ পৌরসভার চরকাউরিয়া দড়িপাড়া এলাকার তফসিলভুক্ত স্বত্ব দখলীয় জমিতে মো. সামিউল হকের পৈতৃক সম্পত্তি রয়েছে। এই জমি নিয়ে একই এলাকার তিন ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের শত্রুতা চলছে। ঘটনার দিন ২৪ অক্টোবর ভোরের দিকে অভিযুক্ত মো. মানিক মাষ্টার (৪৫), ফয়জুর রহমান বাবুল (৫৫), ও মো. মাসুদ (৪৫) সর্ব পিতা মৃত ওয়াহেদ মাস্টার, সহ আরও ৮-১০ জন সংঘবদ্ধ হয়ে তাঁর জমিতে প্রবেশ করে। তাঁর স্বত্ব দখলীয় জমির পাঁচ ফুট উঁচু ইটের ওয়াল এবং একপাশের টিনের বেড়া ভেঙে ফেলা হয়। সামিউল হকের দাবি, এতে তাঁর প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।ভাঙচুর চলাকালে সামিউল হক ঘটনাস্থলে এগিয়ে গিয়ে বাধা দেন। এ সময় হামলাকারীরা তাঁদের দিকে দা ও লাঠি দেখিয়ে হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগী সামিউল হক জানান, অভিযুক্তরা তাঁকে সপরিবারে এলাকা থেকে উচ্ছেদ করা, খুন করে লাশ গুম করা এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দিয়েছে। আসামীদের ভয়ে আমরা কোনো কথা বলতে সাহস পাইনি। আমিসহ আমার পরিবারের লোকজন বর্তমানে আতঙ্কে এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারছি না।
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার শাকের আহাম্মেদ বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।






