”বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান এবার ঘুঘু তোমার বধিব পরান ” শিরোনামে মানব কন্ঠ নামক ফেসবুক আইডির একটি পোষ্ট
বদমায়েশিতে বারবার সফল হলেও শেষে পর্যন্ত তার শাস্তি হয় এটাই চিরচায়িত নিয়ম। অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে যাচ্ছেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান,ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জুমান তালুকদার।
জুমান তালুকদার বার বার প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হাতিয়ার হিসাবে ব্যাবহার করেছেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি।
নিজের সার্থ হাসিল করতে ২০১৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে ফাঁসাতে চেষ্টা করেছিলেন বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সাম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় সাহেবকে এবং ২০১৯ সালে সরকারী কিয়ামত উল্লাহ কলেজ ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইদ্রিস আলী সাহেবকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করে, তারই ধারাবাহিকতায় ১২ জুলাই আবারো বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করে পৌর যুবলীগের আহব্বায়ক ও পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করেন। কিন্তু এইবার তিনি সফল হতে পারেনি নিজের পাতা ফাঁদে নিজেই পড়ে গেছেন, স্বাক্ষী হয়েছেন পত্যক্ষদর্শী যুব মহিলালীগের সভাপতি জহুরা খাতুন,বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর, সেই রাতেই ১নং আসামী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামী আতিক সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যেমে ১ দিনের রিমান্ডে আনলে ঘটনার সাথে জরিত সবার নাম ও স্বীকারোক্তি প্রদান করেছেন। এই ন্যাক্কার জনক ঘটনার মুলহুতা মাসুমা ইয়াসমিন স্মৃতি ও জুমান তালুকদার পলাতক রয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে মিছিল প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা যুবলীগ।


কারো কাছে সুবিধা আদায় করতে না পারলে জুমান তালুকদার সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে সুবিধা আদায় করতেন। বিগত দিনে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির মাননীয় সভাপতি জনাব আবুল কালাম আজাদ, এমপি,বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তালুকদার,বর্তমান মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর, তৎকালীন একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আসলাম হোসেন,সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু, ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, সরকারী কিয়ামত উল্ল্যাহ কলেজের অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী, আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতা আবু জাফর,বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়,সিনিয়র নেতা বাবুল তালুকদার, সিনিয়র সাংবাদিক শাহীন আল আমীন,সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম, মহিলা নেত্রী শাহিনা হোসেন,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুমা ইয়াসমিন স্মৃতি,ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হাসানুজ্জামান সজিব,যুবলীগ নেতা শ্রী নেপাল চন্দ্র সাহা,যুবলীগ নেতা শামীম খন্দকার,সচেতন নাগরিক ঐক্যর সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির,সাংবাদিক সালাম মাহমুদ সহ অসংখ্য ব্যাক্তিবর্গ তার অপপ্রচারের স্বীকার হয়েছেন।
তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় ভোরের কাগজের সিনিয়র সাংবাদিক বিল্লাল হোসেনকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে রড় দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেন।
জুমান তালুকদার বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না, তিনি বিশ্বাস করেন ব্যাক্তি রাজনীতিতে তাই তিনি নৌকার বিপক্ষে আনারস মার্কার নির্বাচন করেন। তার নেতা যদি কাল বিএনপিতে যোগদান করেন তিনিও তাই করবেন।
বাংলায় একটি প্রবাদ আছে “ গাঁয়ে না মানে আপনি মোড়ল”। বকশীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির ছাত্রত্ব নেই, বিবাহিত,দলে নেই গ্রহণযোগ্যতা,তার পরও অদৃশ্য কারনে কমিটিতে ১৩ বছর যাবত সভাপতির আসন দখল করে আছেন। অনেক আগেই কমিটির মেয়াদ পার হওয়ার পরও নতুন কমিটি সৃষ্টি করতে টালবাহনা করছেন, দীর্ঘদিনেও কমিটি গঠিত না হওয়ায় নেতাকর্মীরা ব্যক্তিগতভাবে তাদের অনুসারী কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আছে।