জামালপুর সীমান্তে বন্যহাতির উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। বিকেলের শেষ দিকে প্রায় অর্ধ শতাধিক হাতির একটি দল জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের সোমনাথপাড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের প্রায় ১ কিলোমিটার অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে।
হাতির দল সীমান্ত এলাকায় ভারতে অবস্থান করলেও খাদ্যের সন্ধানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সন্ধ্যার দিকে। এসব হাতির কারণে বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী কামালপুর ইউনিয়নের সোমনাথপাড়া, গারোপাড়া, টিলাপাড়া, যদুরচর, সাতানীপাড়া ও মৃর্ধাপাড়ার ৬ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নির্ঘুম রাতযাপন করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে ভারতীয় বন্যহাতির দল সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। হাতির তাণ্ডব ঠেকাতে স্থানীয়ভাবে জেনারেটরের মাধ্যমে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। দীর্ঘদিন পর হঠাৎ করে হাতির দল আসায় পূর্ব প্রস্তুতিও নেই স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু তালেব জানান, প্রতি বছর হাতি বিশেষ করে অক্টোবর মাসের শেষের দিকে রূপা আমন কাটার সময় খাদ্যের জন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে। কিন্তু এবার অনেক আগেই হাতির দল বাংলাদেশে এসেছে।
এদিকে স্থানীয় কৃষকরা তাদের ফসল রক্ষা করার জন্য জমির চারদিকে বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘেরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেস। এসব বিদ্যুতের তারের এক পাশে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়। ফলে বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শ পেলেই হাতির দল পালিয়ে যায়। হাতির কবল থেকে জানমাল রক্ষার্থে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।
জামালপুর ৩৫ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল এসএম আজাদ জানান, হাতির কারণে সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও জানমালের নিরাপত্তায় বিজিবি সদস্যদের টহল জোরদার করা হয়েছে।