জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোসাদ্দেকুর রহমান প্রমাণিক মাসুম আবারও জীবিত ব্যাক্তিকে ১৫ বছর আগে মারা গেছে মর্মে মৃত্যুর প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করেছেন।
এর আগেও জীবিত ব্যাক্তিকে মৃত দেখিয়ে সনদ প্রদান করায় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোসাদ্দেকুর রহমান প্রমাণিক মাসুমসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট।
জানা যায়,গত ২০ সেপ্টেম্বর ২নং বগারচর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বগারচর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মৃত মুনছুর আলীর ছেলে জীবিত মগর আলীকে বিগত আনুমানিক ১৫ বছর পূর্বে ইন্তেকাল করেছেন মর্মে মৃত্যুর প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করেন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোসাদ্দেকুর রহমান প্রমাণিক মাসুম। প্রত্যয়ন পত্রে যাচাই কারী ওয়ার্ড মেম্বারের স্বাক্ষর ছাড়াই প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করেন চেয়ারম্যান।চেয়ারম্যানের দেওয়া প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে বিধবা ভাতাভোগী হিসাবে জীবিত মগর আলীর স্ত্রী মোছাঃ অছিফুল সরকারের দেওয়া বিধবা ভাতার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে জানা যায়।
এই বিষয়ে বগারচর ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার আমিনুল ইসলাম বলেন,বিধবা ভাতার কার্ডের জন্য জীবিত মগর আলীর স্ত্রী অছিফুল তার স্বামীকে মৃত্যু দেখিয়ে প্রত্যয়ন পত্র চায় কিন্তু তার স্বামী জীবিত আছে আমি অবগত থাকায় প্রত্যয়ন পত্র না দিয়ে তাকে ফিরিয়ে দেই।পরে কিভাবে এই মৃত্যু প্রত্রয়ন দেওয়া হল তা আমার জানা নেই।
বগারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোসাদ্দেকুর রহমান প্রমাণিক মাসুম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে মোছাঃ অছিফুল বিধবা ভাতা সুবিধা ভোগ করে আসছে সে কারনে তার স্বাক্ষ্য অনুযায়ী মৃত্যুর প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করা হয়েছে।