একজন মানুষের বেঁচে থাকতে আটটি গাছের অক্সিজেন লাগে। আপনি নিজে বেঁচে থাকার জন্য আটটি গাছ লাগান। গাছ আমাদের পরম বন্ধু। গাছ থেকে আমরা বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পেয়ে থাকি। গাছ থেকে ছায়া পাই । এই গাছই আমাদের বিভিন্ন প্রকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে। এছাড়াাও গাছ থেকে প্রাপ্ত। কাঠ দিয়ে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র যেমন- চেয়ার, টেবিল, খাট-আলমারি দরজা-জানালা তৈরি করি। গাছ আমাদের ফুল ও ফল দেয়। এসব কারণে গাছ আমাদের কাছে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই নতুন প্রজন্ম এই আনন্দে ভালোবাসায় গাছ লাগায় মহানন্দে। গাছ লালন পালনও সমভাবে প্রয়োজনীয়।
গাছ একটি আমানত, পরিবারের রক্ষা কবজ। মহানবী সা. নিজ থেকে গাছ রোপণ করেছেন। ধর্মীয় মতে, যদি তুমি জানো আগামীকাল কিয়ামত হবে তবুও আজ একটি গাছের চারা রোপণ কর। কেউ যদি একটি ফল গাছ রোপণ করে এবং সে গাছের ফল পশুপাখি কিংবা মানুষ খায় এমনকি চুরি করেও খায় তবুও সে গাছের মালিক সদকার সওয়াব পায়। কেউ গাছ রোপণ করে মারা গেলে তিনি মৃত্যুর পরও সদকায়ে জারিয়ার সওয়াব পেতে থাকেন এর বিনিময়ে। ধর্মীয় এ অমূল্য বাণীগুলো থেকে বোঝা যায় বৃক্ষরোপণ করা কত বড় মহৎ, কল্যাণ, সওয়াব আর পরিবেশবান্ধব কাজ। নির্মল পরিবেশ রক্ষায় গাছের অবদান অপরিসীম। গাছহীন পরিবেশ মস্তকবিহীন দেহের সমান। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় একটি দেশে শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। পরিবেশ বলতে আমাদের আশপাশের দৃশ্য-অদৃশ্য বস্তু, যেমন- নদ-নদী, পাহাড়-পর্বত, বন-জঙ্গল, বায়ু, আলো, শব্দ, এসবের সমন্বিত প্রভাব, যা মানুষের এবং পুরো জীব জগতের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে। কথায় আছে, বলবো কিরে ভাই, সবার কাছে বলে যাই, যেই দেশে নাই তরু, সে দেশটা আসলেই মরু। এটি কিন্তু মধু ছন্দ কথা নয় আসল কথা।
মোসলেমাবাদ, মাদারগন্জ , জামালপুর।