মতিন রহমান। জামালপুরের বকশীগঞ্জে স্বামীর লিঙ্গ ও গলা কেটে হত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।এঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রী ও তার ভাগ্নেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২১ জুন) রাত ২টার দিকে ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের লাউচাপড়া ডুমুরতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটে। পরে দুপুরে ১২টার দিকে গারো পাহাড়ের চূড়া থেকে মারাত্মক আহত অবস্থায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে প্রথমে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্মরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, লাউচাপড়া ডুমুরতলা প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে জামাত আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন (৫০) তার পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। শুক্রবার সকালে ইসমাইল হোসেনের ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অসস্থায় দেখতে পায় অন্যান্য বাসিন্দারা। কিন্তু ইসমাইল হোসেনকে না পেয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা ইসমাইল হোসেনকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। তাকে না পেয়ে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দুপুর ১২ টার দিকে থানা পুলিশ আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশের গারো পাহাড়ের চূড়ায় রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।স্থানীয়দের ধারণা স্ত্রীর পরকিয়ার জের ধরে স্বামী ইসমাইল হোসেনের লিঙ্গ ও গলা কেটে হত্যার চেষ্টা হয়েছে।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় সাহা জানান, ইসমাইল হোসেনের লিঙ্গ কেটে ফেলায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী শাহিদা বেগম (৩৫) ও ভাগ্নে মোছা মিয়াকে আটক করা হয়েছে।