মতিন রহমান। জামালপুরের বকশীগঞ্জে আহত অবস্থায় বিলুপ্ত প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী গন্ধগোকুল উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার বিলুপ্ত প্রজাতির এই বন্য প্রাণীটিকে উদ্ধার করে উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসে চিকিৎসা দেয়া হয়। বর্তমানে বন্য প্রাণীটি বন কর্মকর্তার হেফাজতে রয়েছে।
এর আগে,বুধবার দুপুরে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের সরদারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে থেকে আহত অবস্থায় গন্ধগোকুলটি উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশ টিমের সদস্য ডাঃ হাবিবুর রহমান বুধবার সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে মানুষের একটি জটলা দেখতে পান।পরে জানতে পারেন বিলুপ্ত প্রজাতির গন্ধগোকুল আটক করে মারা হচ্ছে। তিনি খবরটি স্থানীয় সাংবাদিক ও সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশ টিমের যুগ্ন আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম রনিকে অবগত করেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গন্ধগোকুলটি উদ্ধারের চেষ্টা করলে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়েন তিনি। এসময় সাংবাদিক রনি বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খানকে বিষয়টি অবগত করেন ও প্রাণীটি উদ্ধারে সহযোগিতা চান। ওসির নির্দেশে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাণী গন্ধগোকুলটি উদ্ধার করে উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ডাঃ হাবিবুর রহমান বলেন, উদ্ধারকৃত প্রাণিটিকে অনেকটা বাগডাশের মত দেখতে হলেও সেটি আসলে বাগডাশ নয়। এটির নাম গন্ধগোকুল। আমাদের দেশের বন জঙ্গলে প্রায়ই এই গন্ধগোকুলকে দেখা যায়। এরা খাদ্য শৃঙ্খলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং ফসলের ক্ষতিকারক পোকা-মাকড় খেয়ে জীবন যাপন করে থাকে। তা ছাড়া এই প্রাণী মানুষের কোনো ক্ষতি করে না বরং উপকারে করে থাকে।
সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম রনি বলেন, বিলুপ্ত প্রজাতির ওই প্রাণীটিকে উদ্ধার করে উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসে চিকিৎসা দেয়া হয়। এর আগে বুধবার দুপুরে পুলিশের সহায়তায় পৌরসভার সরদারপাড়া নামকস্থান থেকে উৎসুক জনতার হাত থেকে গন্ধগোকুলটি আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুল মান্নান বলেন,বুধবার দুপুরে আহত অবস্থায় বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাণী গন্ধগোকুল নিয়ে আসা হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার দু’টি চোখ ও শরীলে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।’