মতিন রহমান।।জামালপুরের বকশীগঞ্জে বাসনা বেগম (৩০) নামে এক বিধবা নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বাসনা বেগম ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগ্রামের মৃত বাদশা আলীর মেয়ে।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ৯ টার দিকে ধানুয়া কামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতির উপস্থিতিতে ঘরের তালা ভেঙে রক্তাক্ত অবস্থায় বাসনা বেগমের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।পরে খবর পেয়ে ১১ টার দিকে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ নিজ ঘর থেকে ওই বিধবা নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেন।
জানা গেছে,বাসনা বেগমের স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে তাঁর ৮ বছর বয়সের কন্যা সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই বসবাস করতেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাসনা বেগমকে বাড়িতে না দেখে তার মা রশিদা বেগম অনেক খোঁজাখুুঁজি করতে থাকেন। তাঁকে কোথাও না পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে রাত ৯ টার দিকে তাঁর নিজ ঘরের দরজার বন্ধ তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে মেঝেতে রক্তাক্ত মরদেহ পরে থাকতে দেখা যায়।বাসনা বেগমের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা ভাইদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ও পারিবারিক কলহের জের ধরে তাকে খুন করা হতে পারে।
বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খাঁন জানান, খবর পেয়ে রাতেই রক্তাক্ত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে এবং শনিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য জামালপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিধবা বাসনা বেগমের খুনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।