মতিন রহমান। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে সাংগঠনিক নিয়ম বহির্ভূত কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমকে তিন কার্যাদিবসের মধ্যে উপজেলা বিএনপির অফিসে উপস্থিত হয়ে লিখিত ভাবে কারণ দর্শাণোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব মানিক সওদাগর স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকরে মত গুরুত্বপূর্ন সাংগঠনিক দায়িত্বে থেকেও আপনি সাংগঠনিক নিয়ম বহির্ভূত কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন, যাহা দলের সুনাম বিনষ্ট করার সামিল। এটা উপজেলা বিএনপির দৃষ্টি গোচর হয়েছে। এমতাবস্থায় সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য আপনার বিরোদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা, তা আগামী তিন কার্যাদিবসের মধ্যে উপজেলা বিএনপির অফিসে উপস্থিত হয়ে লিখিত ভাবে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হলো।
বিএনপি নেতা আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে চাদাঁ না দেওয়ায় চা দোকানীকে মিথ্যা মামলায় ফাসাঁনোর অভিযোগ উঠে। ভুক্তভোগী চা দোকানী সেলিম মিয়ার স্ত্রী খোদেঁজা বেগম সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,আমার স্বামী সেলিম মিয়া সাধুরপাড়ার গাজীরপাড়া বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকানে চা বিক্রি করে সংসার চালান । দুই সপ্তাহ আগে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির কথা বলে সেলিম মিয়ার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বিএনপি নেতা আবুল কাসেম। টাকা না দিলে সেলিম নাশকতার মামলার আসামি হবে বলে বিএনপি নেতা হুঁশিয়ারি দেন। তাতেও টাকা না দেওয়ায় সেলিমের উপর ক্ষিপ্ত হন আবুল কাসেম। গত ১০ নভেম্বর পুলিশ এসে সেলিম মিয়াকে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা কাশেমও উপস্থিত ছিলেন। পরদিন স্থানীয় আরেক বিএনপি নেতার দায়ের করা নাশকতার মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে আদালতে পাঠানো হয়। বর্তমানে সেলিম মিয়া কারাগারে রয়েছেন তিনি। টাকা না দেওয়ার কারণেই তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। ন্যায় বিচারের জন্য জামালপুর-১ আসনের সাবেক এমপি কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামানের মিল্লাতের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।