মতিন রহমান।।জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন ইউনিয়ন পরিষদের ১২ জন সদস্য।
আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার অহনা জিন্নাত এর কাছে লিখিতভাবে তারা অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়,ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ মশিউর রহমান লাভপতি ক্ষমতা গ্রহণ করেই এক নায়কতন্ত্র শাসন ব্যাবস্থা কায়েমের হীন উদ্দেশ্যে ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যদের সঙ্গে অহেতুক ভাবে অকর্থ ভাষায় তর্ক বিতর্ক, অসৎ আচরণ করে পরিষদ পরিচালনা করার পরিবেশ যথার্থ ভাবেই বিনষ্ট করেছেন। তিনি পরিষদ পরিচালনার পরিবেশ তৈরী না করে আমাদের পরিষদের সকল কর্মকান্ড থেকে বঞ্চিত রেখে নিজে স্বয়ং সর্ব সেরা পরিচয় ব্যক্ত করে একাই একছত্র ভাবে পরিষদের সকল কর্মকান্ড প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে কোটি টাকা আত্মসাৎ করে একটি বহুল আলোচিত ইউনিয়ন পরিষদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন। সাধারণ জনগণের সম্পদের তত্বরূপ এবং তাদের সাথে দুর্ব্যবহারে আমরা পরিষদের সদস্যবৃন্দ ও ইউনিয়নের আপাময় জনতা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। অভাবনীয় অপকৌশল খাটিয়ে দুস্থ ও অসহায় ব্যক্তিদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহন সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অভিনব কায়দায় চাঁদা আদায় করা তার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সর্বপরি তিনি দুর্নীতিবাজ,ধোকাবাজ, উর্গমেজাজী, ক্ষমতা অপব্যবহারকারী ইউনিয়নের সৈর শাসক এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই। অভিযোগ আনয়ন করে উক্ত পরিষদের সকল ইউপি সদস্য সদস্যাগন ২৩/০১/২০২৪ ইং তারিখ মোঃ সামিউল হক ইউপি সদস্য ৯ নং ওয়ার্ড সাহেবকে আহব্বায়ক করে ইউনিয়ন পরিষদের সভাকক্ষে একটি জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় উক্ত সভার রেজুলেশনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে চেয়ারম্যান মশিউর রহমান এর বিরুদ্ধে একটি অনাস্থা প্রস্তাব আনয়ন করা হয়। উক্ত অনাস্থা প্রস্তাবটি সকল সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হয় কার্যবিবরণীত অবিকল নকল যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ ছাড়াও সদস্যরা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতির বিরুদ্ধে ভিজিডি চাউল আত্মসাৎসহ সুনির্দিষ্ট ৭টি অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। তারা সে সব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
অনাস্থা প্রস্তাব প্রসঙ্গে ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি বলেন,আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা এবং বানোয়াট কেন আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করছে, তাও জানি না। মেম্বারদের স্বাক্ষর জাল করে অনাস্থা প্রস্তাবটি করা হয়েছে। এবিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অহনা জিন্নাত বলেন,চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মেম্বারদের লিখিত অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।