মতিন রহমান:-জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়নের দক্ষিন দত্তেরচর গ্রামের আজমীরগঞ্জ দরবার শরীফে রাতের আধারে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা দরবার শরীফের পীর খাজা তৌহিদুল্লাহকে হত্যার চেষ্টা করে এবং ৬০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটতরাজ ও ভাংচুর করে।
সোমবার(৬ নভেম্বর) দিবাগত রাতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে রাতেই পীর খাজা তৌহিদুল্লাহর বড় ভাই অধ্যক্ষ খাজা শাহনেওয়াজ বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে নামীয় আসামী ২২ জন। অজ্ঞাতনামা আসামী ৫০-৬০ জন। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা।
জানা যায়, আজমীরগঞ্জ দরবার শরীফের পীর সাহেব খাজা নাসিরুল্লাহ প্রায় এক বছর আগে মারা যায়। তিনি মারা যাওয়ার পর জাকেরদের সমর্থনে আজমীরগঞ্জ দরবার শরীফের গদ্দীনশীন হন তারই ছোট ভাই খাজা তৌহিদুল্লাহ। খাজা তৌহিদুল্লাহ গদ্দীনশীন হওয়ার পর থেকেই তারই ১৯ বছর বয়সী ভাতিজা খাজা সাইম গদ্দীনশীন হওয়ার চেষ্টা করেন। বেশ কিছুদিন যাবৎ দরবার শরীফে দ্বন্ধ চলে আসছিলো। এই নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য শালিস বৈঠক হলেও কোন সুরাহা হয়নি। এর জেরে সোমবার রাতে আজমীরগঞ্জ দরবার শরীফে হামলার ঘটনা ঘটে। সাইমের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র সহ ৫০-৬০ জন লোক দরবারের ভিতরে প্রবেশ করে । এ সময় তারা খাজা তৌহিদুল্লাহকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। দরবারে থাকা ভক্তরা বাধাঁ দিলে তারা তাদেরকেও মারধোর করে। এক পর্যায়ে দরবারের ভিতরে ভাংচুর চালায় এবং আলমারীর তালা ভেঙে নগদ প্রায় ১০ লাখ টাকা,৫ লাখ টাকার স্বর্নের গহনা লুট করে নিয়ে যায়। এতে দরবারের প্রায় ৬০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন শাহী নেওয়াজ। ঘটনার পর হামলার বিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত সাইম খাজার মতামত জানার জন্য গণমাধ্যম কর্মীরা সাইম খাজার বাড়ীতে গেলেও তাকে বাড়ীতে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে ঘটনার বিষয়ে তার মতামত জানা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে অভিযোগের বাদী অধ্যক্ষ খাজা শাহনেওয়াজ জানান, সাইমের নেতৃত্বেই দরবারে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরই আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।