জামালপুরের বকশীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদে এক গ্রাম পুলিশকে পিটিয়ে পরিষদ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গ্রাম পুলিশ নুরুন্নবী। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ধানুয়া কামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি দায়িত্ব পালন করছিলেন গ্রাম পুলিশ নুরুন্নবী। কিন্তু ওই দিন তার বকশীগঞ্জ থানায় হাজিরার দিন ছিল। প্রতি বৃহস্পতিবার উপজেলার সকল ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশরা থানায় হাজিরা দেন। ধানুয়া কামালপুর পরিষদে কাজ থাকার কারণে তিনি সেদিন থানায় যেতে পারেননি। চেয়ারম্যান পরিষদে আসতে দেরি করায় ইউপি সচিব আবদুল লতিফের কাছ থেকে থানার হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নিয়ে প্রতিবেদন আরেক গ্রাম পুলিশ সন্তোষ সাংমার মাধ্যমে থানায় পাঠিয়ে দেন নুরুন্নবী। বেলা ১২ টার দিকে পরিষদে আসেন ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি। পরে থানার প্রতিবেদন খাতায় ইউপি সচিবের স্বাক্ষর নেওয়ার কারণে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুন্নবীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। এক পর্যায়ে শার্টের কলার ধরে টানা হেচড়া ও মারপিট করে পরিষদ থেকে বের করে দেন চেয়ারম্যান।
এ ব্যাপারে গ্রাম পুলিশ নুরুন্নবী বলেন,পরিষদে কাজ থাকায় এবং চেয়ারম্যান আসতে দেরি করায় থানার প্রতিবেদন খাতায় আমি সচিব স্যারের স্বাক্ষর নিয়ে গ্রাম পুলিশ সন্তোষ সাংমার মাধ্যমে থানায় পাঠিয়ে দেই। এটাই আমার অপরাধ। তাই চেয়ারম্যান আমাকে গালাগালি ও মারধোর করে পরিষদ থেকে বের করে দিয়েছেন। এ কারণে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি বলেন, বৃহস্পতিবার গ্রাম পুলিশরা থানায় হাজিরা দেন। পরিষদে সরকারি কাজ থাকার কারণে ৩ জনকে পরিষদে থাকতে বলে সবাইকে থানায় যেতে বলি। কিন্তু আমি আসার আগেই নুরুন্নবী সচিবের কাছে স্বাক্ষর নিয়ে প্রতিবেদন থানায় পাঠিয়ে দেয়। আমি তাকে ডেকে এটাই জানতে চেয়েছি। তাকে মারধোর ও পরিষদ থেকে বের করে দেওয়ার কথা সঠিক নয়।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, মারধোরের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য এক অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।